সোমবার , ১৪ জুলাই ২০২৫ | ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ-অনিয়ম
  2. অর্থ-বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আলোচিত
  5. কক্সবাজার
  6. খেলা
  7. জাতীয়
  8. জীবনযাপন
  9. ধর্ম
  10. নোটিশ-বিজ্ঞপ্তি
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. বৃহত্তর চট্রগ্রাম
  13. মুক্তমত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল

মাদকের গডফাদারদের ছাড় নয়, মব ভায়োলেন্স ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রতিবেদক
সোনার বাংলা নিউজ
জুলাই ১৪, ২০২৫ ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

শফিকুর রহমান

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে, যা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে।

সোমবার (১৪ জুলাই) কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে “রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ” বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাদক নির্মূলে শুধু অভিযান যথেষ্ট নয়, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ মাদক প্রবেশ করছে। এই পরিস্থিতিতে জেলার জনগণকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অতীতে মাদকের গডফাদাররা অনেক সময় পার পেয়ে যেত। এখন আর কোনো ছাড় নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মব ভায়োলেন্স কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণ সচেতন হলে মব ভায়োলেন্স ঠেকানো সম্ভব। কেউ মব সৃষ্টি করলে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

চাঁদাবাজদের ব্যাপারেও কঠোর অবস্থান জানিয়ে তিনি বলেন, চাঁদাবাজ যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজির একমাত্র পরিচয় সে চাঁদাবাজ। সরকার এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মাদক সমাজের বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি মাদক প্রবেশ করছে। এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন, যাতে মাদকচক্রকে চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীনসহ বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এছাড়াও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, এপিবিএন, আনসার, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও সভায় অংশ নেন।

সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বিওপি পরিদর্শন করেন।

সর্বশেষ - বিশেষ সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত