বশিরুজ্জামান, ঈদগাঁওঃ আসছে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে ঈদগাঁও বাজারের কোরবানির পশুর হাট। বেঁচা-কেনা মোটামুটি ভালো আর দামের দিক দিয়েও অন্যান্য বাজারের তুলনায় অনেক কম বলে দাবি করেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। আগামীর হাটগুলোতে কেনা-বেচা আরও বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন বাজারে আসা বিক্রেতারা।
প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার ঈদগাঁও’র সাপ্তাহিক হাটসহ ঈদুল আযহা উপলক্ষে টানা তিন দিনের গরুহাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসবে গরু-মহিষ। এ হাটের ইজারাদের সার্বিক তদারকি ও প্রশাসন কতৃক নিরাপত্তার ব্যবস্থার কারণে কোনো ধরনের চুরি, ছিনতাই কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবার কথা নয়। ফলে দূরের ক্রেতা ও বিক্রেতারা এ হাটে এসে অনায়াসে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে।
নুরুল হাকিম নামে এক ব্যাক্তি জানান, কোরবানির গরু কেনার জন্য গরুর হাটে এসেছি। সুবিধা মতো দামের মাঝারি সাইজের গরু পেলেই কিনে নিবো। দেশীয় গরুর দাম গতবছরের তুলনায় অনেক কম বলে মনে করছেন তিনি।
আশরাফ উদ্দিন নামে এক গরু ক্রেতা জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক কম। বাজার ঘুরে যতটুকু বুঝেছি বড় গরুর চেয়ে হাটে মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা অনেক বেশি। ঈদের দুই-তিনদিন আগেই মূলত গরু কেনাবেচা বেশি হবে।
গরু বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, ঈদের প্রথম গরুর হাট হিসেবে গরুর দাম অনেক কম। আমার গরুটি বেশ কয়েকটা দামাদামি করছে। দাম আরেকটু বেশি পেলে বিক্রি করে দিবো।
ইজারাদার কতৃপক্ষ নুরুল হুদ জানান, কোরবানি ঈদের আজ প্রথম বাজার হিসেবে আশানুরূপ গরু-মহিষ বিক্রি হয়নি তবে আগামী বাজার জমজমাট হবে বলে মনে করছি। জাল নোট শনাক্তকরণে ব্যাংক কতৃপক্ষের মাধ্যমে ইউভি প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে শুরু করে চুরি ছিনতাই এড়াতে প্রশাসনের সহযোগিতার পাশাপাশি ভলেন্টিয়ার টীম মাটে থাকবেন আশ্বাস দেন তিনি। গরু ক্রয়বিক্রয়ের হাসিল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরু বিক্রেতার ক্ষেত্রে ১৫০০ টাকা ও ক্রেতার ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা হাসিল নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মছিউর রহমান বলেন, কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে ঈদগাঁও বাজারে গরু ক্রেতা-বিক্রেতা যাতে নির্বিঘ্নে আসতে পারেন তার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করবে ঈদগাঁও থানার স্থায়ী পোস্ট। সেই সাথে উপজেলার ছোটখাটো গরু বাজারেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন বলে জানান ওসি।
কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ, এম, খালেকুজ্জামান বলেন, জেলায় সরকারী তালিকাভূক্ত ৫৭ টি গরুর হাটে যৌথভাবে কাজ করবে ৩৮টি মেডিকেল টিম। সাথে পুলিশ প্রশাসন, বিসিক সদস্য, জাল নোট সনাক্তকরণ টিমসহ আরও কয়েকটি টিম। কোরবানি ঈদে ঈদগাঁও গরুর হাটে ১ বা ২ দিন তাদের মেডিকেল টিম কাজ করবে। গরুর চামড়া ভালোভাবে সংরক্ষণের জন্য বাজারের প্রতিটা গরু ক্রেতাকে বিসিক কতৃক ৫ থেকে ৭ কেজি লাবন দিবেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।