রবিবার , ২৫ মে ২০২৫ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ-অনিয়ম
  2. অর্থ-বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আলোচিত
  5. কক্সবাজার
  6. খেলা
  7. জাতীয়
  8. জীবনযাপন
  9. ধর্ম
  10. নোটিশ-বিজ্ঞপ্তি
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. বৃহত্তর চট্রগ্রাম
  13. মুক্তমত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল

ঈদগাঁও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের মাঠকর্মী মোহাম্মদ রাসেদের বিরুদ্ধে লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

প্রতিবেদক
সোনার বাংলা নিউজ
মে ২৫, ২০২৫ ৪:১২ পূর্বাহ্ণ

ঈদগাঁও প্রতিনিধি

ঈদগাঁও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল নগদ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ব্যক্তি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের মাঠকর্মী মোহাম্মদ রাসেদ স্থানীয় কালু দালালের সাথে চুক্তি করে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নাম্বার ওয়ার্ড থেকে প্রায় ২০ টা টয়লেটের জন্য ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এই ভাবেই ঘুষ বানিজ্য করে চলছে ইসলামাবাদ, ইসলামপুর ও পোকখালী ইউনিয়নের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পের কার্যক্রম।

আব্দুল কাইয়ুম নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে কালুর মারফতে ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি টয়লেট বরাদ্দ পাই। টাকা দিয়ে দীর্ঘদিন তাদের পিছনে ঘুরঘুর করে শেষমেশ কাজ শুরু করেছে। তবে সরঞ্জামের মান দেখে মাথা ঘুরাচ্ছে। এতোটা নিম্নমানের ইট, সেমিন্ট ও বালু দেখে মনে হচ্ছে ৬ হাজার টাকা জাহান্নামে দিলাম। ১০টি চাকা আনছে তার একটিও পরিপূর্ণ ভালো নেই। কয়েকটা অর্ধেক ভাঙা কয়েকটা ফাটা কয়েকটা ঝরঝরে অবস্থা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, জনস্বাস্থ্য অফিস থেকে আমাকে একটি টয়লেট বরাদ্দ দেয়া হয়। অফিসের খরচাপাতির জন্য কালু নামের এক ব্যাক্তি ৫ হাজার টাকা দাবি করলে প্রাথমিক ভাবে তাকে ২ হাজার টাকা দিই। পরে কাজ কিছু দূর আগালেও বাকী ৩ হাজার টাকার জন্য বারবার কল দিচ্ছে। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে বাকী ৩ হাজার টাকা দিতে না পারায় এখন কাজ বন্ধ রাখছে।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের মাঠকর্মী মোহাম্মদ রাসেদের সাথে উপরোক্ত বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, গত দুই মাস আগেই আমি ইসলামাবাদ ও ইসলামপুর ইউনিয়ন থেকে বদলি হয়ে পোকখালী ইউনিয়নের দায়িত্বে চলে আসি। ইসলামাবাদ কিংবা ইসলামপুরের কাজে অনিয়ম কিংবা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে আমি থাকা কালে সেখানে কোনপ্রকার অনিয়ম কিংবা অনৈতিক লেনদেন হয়নি।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের মাঠকর্মী আনিসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি কিছুদিন আগেই ইসলামাবাদ ও ইসলামপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে এসেছি। পুরাতন বাজেটের তদারকি করছি। টয়লেটে ব্যবহারিত কাচামালের মান নিয়ে তেমন অভিযোগ নেই। তবে বালি নিয়ে কিছুটা আপত্তি আছে বালে তার দাবি।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাহামুদুল হাসান বলেন, কোথাও দুর্নীতি কিংবা অনিয়ম হবার কথা নয়। তারপরও কোনো অভিযোগ থাকালে আমাকে জানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখি যদি ঝুঁকিপূর্ণ হয় তাহলে ভেঙে ফেলব। কয়েকদিন আগেও ইসলামাবাদ ও ইসলামপুরে কয়েকটি কটয়লেটে অভিযোগ আসায় ও দুর্নীতি প্রমাণ হওয়ায় মাটিতে গুড়িয়ে দিয়েছি। আমি যথেষ্ট সচেতনতার সাথে গরীব অসহায় মানুষকে ভালোটা দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি আগামীতেও এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইবনে মায়াজ প্রামাণিকে বার বার কল দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ - বিশেষ সংবাদ