সোমবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ-অনিয়ম
  2. অর্থ-বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আলোচিত
  5. কক্সবাজার
  6. খেলা
  7. জাতীয়
  8. জীবনযাপন
  9. ধর্ম
  10. নোটিশ-বিজ্ঞপ্তি
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. বৃহত্তর চট্রগ্রাম
  13. মুক্তমত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল

সেতু আছে, কিন্তু সড়ক নাই

প্রতিবেদক
সোনার বাংলা নিউজ
এপ্রিল ২৮, ২০২৫ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ

মেহেদী হাসান মেহের বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

সেতু থাকলেও, নেই সংযোগ রাস্তা। সেতুর দুই পাশের মাটি ভরাট না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না আর এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া গ্রামের হাজারো মানুষ।
জানা যায়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে গত ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের কাশেম মিয়ার বাড়ির কাছে ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণের পর থেকে আজ অবধি সেতুর গোড়ায় মাটি না থাকায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে অথচ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ কাজ না করেই প্রকল্পের অর্থ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঠিকাদার সেলিম মিয়া গত কিছুদিন আগে জানান, সাড়ে ৩২ লাখ টাকার কাম, অতো মনে নাই। ব্রিজটি তো টিক্কা আছে!!
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের ওপর নির্মিত হয় সেতু আর এখন তা মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু সেতু ব্যবহার করতে পারছে না গ্রামবাসী সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকেই দায়ী করছেন তারা।এলাকাবাসী বলছেন সেতুটি এখন বিষফোঁড়া।
সেতুটিতে যানবাহন বা মানুষ চলাচলের স্থলে, মানুষ এখন ধান, মরিচ আবার কেউ কেউ কাপড়চোপড় বা কাঁথা শুকাচ্ছে।
গত কয়েক বছরেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর সংযোগ রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ রহস্যজনক কারণে শেষ না করায় সেতুর আশেপাশে জমে থাকছে পানি আর এ পানি জমাট বেধে থাকায় স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ভিজে যাচ্ছে তারা। বন্যার সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও নাজুক হয়ে যায়, সেতু থাকতেও নৌকা কিংবা ভিজে পার হতে হয় হাজারো গ্রামবাসীকে।
জনস্বার্থে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের মাটির কাজ জরুরি ভিত্তিতে ভরাটের দাবি জানান গ্রামবাসী।
ভুড়ভুড়িয়া এলাকার মহসিন মিয়া নামে এক বৃদ্ধ বলেন, গত বহু বছর আগে সেতু করে চলে গেছে ঠিকাদার, তারপর থেকে আমরা একদিনের জন্যও এই সেতু দিয়ে পার হতে পারিনি। স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার নেতাদের একাধিকবার বলেছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এখন আশা ছেড়ে দিয়েছি কারণ আমরা তো অবহেলিত, আমাদের কেনো তারা সুযোগ সুবিধা করে দিবে, ভোটের সময় এলে নেতারা আসে আর ভোট চলে গেলে তাদের চরণ ধুলি পাওয়াটা অবিশ্বাস্য হয়ে দাঁড়ায়।
মরিয়ম নামে এক নারী বলেন, বয়স হয়েছে এখনো খালের পানিতে নেমে পার হয়ে যেতে হয় ভুড়ভুড়িয়া বাজারে। সেতু করে দিয়েছে কিন্তু সেতুতে ওঠার কোনো ব্যবস্থা করে দেয়নি তারা (ঠিকাদার)। ছোট ছোট নাতি-নাতনি নিয়ে ভিজে স্কুলে যাই, ভয় করি কখন আবার ওরা (নাতি-নাতনি) পানিতে পড়ে যায়, কারণ ওরা এখনো সাঁতার শেখনি এখনো আমরা চাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর গোড়ায় মাটি দিয়ে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিক।
স্থানীয় সংগঠক ও সমাজসেবী আরিফুল ইসলাম মাসুম বলেন, ব্রিজটি এখন এলাকার বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংযোগ সেতু না থাকায় এলাকাবাসী নিজেরাই বাধ্য হয়ে বাঁধ দিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। আর এতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে সেতুর দু’পাশে থাকা হাজার হাজার একর কৃষি জমির। বাঁধের কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষক এখন টাকা খরচ করে শেলো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দেয়। এর একটা বিহিত চাই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সেতু যখন নির্মাণ হয় ওই সময় আমি এ উপজেলায় কর্মরত ছিলাম না, তাই বিস্তারিত বলতে পারবো না। তবে ১৫/২০ দিনের মধ্যে সেতুর দুই পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করা হবে।

সর্বশেষ - বিশেষ সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

বদির খেলায় কে হচ্ছেন টেকনাফ উপজেলা পিতা

বাংলাদেশি কর্মী নেবে রাশিয়া

বাংলাদেশি কর্মী নেবে রাশিয়া, আলোচনা শুরুর আগ্রহ

ঈদগাঁওতে রেললাইনে কাটা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত!

দ. কোরিয়ায় ২৬০টি বেলুনে করে ময়লা-আবর্জনা পাঠাল উ. কোরিয়া

কক্সবাজারে দ্রুতগামী ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে

টেকনাফের নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে ২লাখ ৫০হাজার ইয়াবা উদ্ধার।

রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, জাল সনদ-বিধি লঙ্ঘনেও চাকরি বহাল

ঘূর্ণিঝড়ের সময় ওদের তাড়িয়ে দেবেন না: শ্রীলেখা

মিয়ানমারে ফেরত গেলেন ১৩৪ বিজিপি-সেনা সদস্য, ফিরলেন ৪৫ বাংলাদেশি

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কক্সবাজার জেলা কমিটি অনুমোদন