মশি উদ দৌলা রুবেল: ফেনী-
ফেনীর সোনাগাজীতে সড়কে দড়ি ফেলে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে,মুখোশ পরে খামারিকে কুপিয়ে হত্যা।ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের দারোগারহাট সংলগ্ন এলাকায় মঙ্গলবার(২২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সড়কে দড়ি ফেলে বাইকের গতিরোধ,মুখোশ পরে খামারি হাসেম কে কুপিয়ে হত্যা করে।নিহত আবুল হাসেম ওই এলাকার পশ্চিম চর দরবেশ গ্রামের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে।তিনি ওই এলাকায় গরু ও দুগ্ধ খামারি হিসেবে পরিচিত।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,আবুল হাসেম দীর্ঘদিন ধরে সোনাগাজী উপজেলা শহরে বসবাস করে আসছিলেন। প্রতিদিন ভোরে পশ্চিম চর চান্দিয়া গ্রামে গিয়ে খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করে তা সোনাগাজীর বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতেন।প্রতিদিনের মতো আজও তিনি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দুধ সংগ্রহের জন্য খামারে যাচ্ছিলেন। পথে সওদাগর হাট এলাকায় পৌঁছালে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।পরে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।এই সময় তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।সেখানে নেওয়ার পথে আবুল হাসেমের মৃত্যু হয়।এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়,জমির বিরোধ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে হাশেমের সঙ্গে একই গ্রামের আমির হোসেন ননাদের দ্বন্দ্ব চলছে।উভয় পরিবারের দ্বন্দ্বে ২০২১ সালের ৩১ মে ভোর ৬টায় আমির হোসেন ননা মিয়ার ভাই কৃষক বেলাল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।ওই ঘটনায় আমির হোসেন ননা মিয়া বাদী হয়ে হাশেমসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।এরপর হাশেমসহ অপর আসামিরা গ্রেফতার হন।দীর্ঘদিন কারাভোগের পর তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফেরেন।জুলাই আন্দোলনে ফেনীর একটি হত্যা মামলায় আমির হোসেন ননা মিয়াকে আসামি করা হয়।ওই মামলায় নানা মিয়া আদালত থেকে জামিন নেন।এই ঘটনায় হাশেমদের দায়ী করেন ননা মিয়া।এই নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ বাড়তে থাকে।নিহত আবুল হাসেম জাতীয়তাবাদী দল বি এন পির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।এদিকে আবুল হাসেমের মৃত্যুর পর পুলিশের অভিযানে এজাহার ভুক্ত আসামিসহ ৭ জন কে গ্রেফতার করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে আলামত উদ্ধার করেন পুলিশ।এই সময় ফেনী জেলা পুলিশ এবং সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ,এলাকাবাসী,পরিবারের লোকজন,সাংবাদিক সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।