মেহেদী হাসান মেহেরঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
বই কখনো বিরক্ত হয় না, বারবার পড়লেও।
দীর্ঘদিন ধরে পড়তে চাচ্ছেন, কিন্তু পড়ার সময় পাননি। “মুগ্ধতার দেবী” এমন একটি বই পড়া শুরু করতে পারেন।
একটি বুক ক্লাব মিটিংয়ে যোগ দেওয়া অথবা নিজেই এ ধরনের কার্যক্রম শুরু করা স্থানীয় স্কুল বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানে নতুন-পুরনো বই দান করা।
বই বিতরণ এমন ঘটনা বিরল। এমন এক ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দশদোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা “সালমা আক্তার সেঁজুতি” । তার প্রথম প্রকাশিত বই
“মুগ্ধতার দেবী”
বই দিবস উপলক্ষে স্কুলের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে তার মুগ্ধতার দেবী৷ বইটি উপহার প্রদান করেন।
তিনি জানান আমার লেখা প্রথম প্রকাশিত “মুগ্ধতার দেবী” পাঠক শ্রেনীর কাছে ভালো লাগবে সে আশা ব্যক্ত করছি। বিরহবোধ প্রেমেরই অংশ।বই পড়লে জীবনকে নতুনভাবে দেখতে শিখা যায়। প্রকৃতি চাইলেই মানব মনে প্রেমের সঞ্চার ঘটাতে পারে আবার সেই সাথে বিরহ বোধ সৃষ্টি করতে পারে। আমি উপন্যাসের নায়ক চরিত্রটি সৎ,পরিবারের প্রতি অসম্ভব ভালেবাসা এবং সবশেষে একজন প্রেমিক পুরুষ হিসেবে তৈরি করেছি। আশা করি বইপ্রেমীদের মধ্যে আমার “মুগ্ধতার দেবী” মুগ্ধতা তৈরি করবে। বই হলো মানুষের পরম বন্ধু।
পরিচিত,আপনজন অনেক মানুষ কে বই টা উপহার দিয়েছি।সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ আমার প্রথম প্রকাশিত বইটি বই দিবসে সকলের মাঝে তুলে ধরতে পেরে।
দশদোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামিল উদ্দিন জুয়েল স্যার জানান’বই দিবসে আমার সহকারী শিক্ষিকার বইটি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছি। বই দিবসে বই পেয়ে অত্যন্ত খুশি এবং আনন্দিত। বই এর সাথে সম্পর্ক মানুষের সারাজীবনের।সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই,আমাদের সকলেরই আরো বেশি বেশি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
লেখক সালমা আক্তার সেঁজুতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার জগন্নাথপুর গ্রামের কন্যা।সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান।২০ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে জন্ম ।তার বাবার নাম জয়নাল আবেদীন মায়ের নাম রিনা বেগম। ছয় ভাই বোনদের মধ্যে তিনি চতুর্থ সন্তান।
মুগ্ধতার দেবী হচ্ছে তা প্রথম প্রকাশিত প্রেমের উপন্যাস।
এ বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই দিবসটি পালন করছেন লেখক পাঠক ও প্রকাশকরা।