কক্সবাজার পৌরসভার নতুন বাহারছড়া ২নং ওয়ার্ডের আলোচিত ব্যক্তি, প্রবাসী ও মক্কা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোক্তার আহমদ মিন্টুর বিরুদ্ধে উঠেছে হুন্ডি ও নারী ব্যবসার গুরুতর অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোক্তার আহমদ মিন্টু গোপনে এক বিশাল অবৈধ অর্থ সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। সাধারণ মানুষ যেখানে দৈনন্দিন জীবনযুদ্ধে লড়াই করছে, সেখানে মিন্টু কক্সবাজার শহরের বুকে বহুতল ভবন নির্মাণ করে দলীয় বৈঠক এবং গোপন মিটিং করে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজস্ব একটি লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে তুলেছেন, যারা তার অপকর্মে সহযোগিতা করে। কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুললে শুরু হয় ভয়ভীতি, হুমকি ও হয়রানি।
স্থানীয়রা বলছেন, তার এসব অপকর্মের পেছনে রয়েছে রাজনীতির ছত্রছায়া এবং প্রভাবশালী মহলের মদদ। জেলা আওয়ামী লীগের এই অর্থদাতা দীর্ঘদিন ধরে হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জনসাধারণের প্রশ্ন, এসব প্রভাবশালী ব্যক্তি কি আইনের ঊর্ধ্বে? আইন কি শুধুই সাধারণ মানুষের জন্য প্রযোজ্য? যদি দেশে প্রকৃত ন্যায়বিচার থাকতো, তবে মিন্টুর মতো ব্যক্তিরা বহু আগেই আইনের আওতায় আসত।
প্রশাসনের নীরবতা এবং রাজনৈতিক প্রশ্রয়ের ফলে কক্সবাজারের মতো একটি শান্তিপূর্ণ পর্যটন নগরী আজ অসহায়। সচেতন মহল অবিলম্বে এই অভিযোগগুলোর তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা দাবি করছেন।