কক্সবাজারের রামুতে জমির সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ উঠেছে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নয়নসহ একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দলের বিরুদ্ধে। ঘটনার শিকার ব্যক্তি মাহবুবুর রশিদ বর্তমানে আহত অবস্থায় রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাহবুবুর রশিদসহ তার ভাইবোন আকতার কামাল, ফারজানা খানম ও রোকসানা খানম যুগ যুগ ধরে পৈত্রিক সূত্রে রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের রামকুট বৌদ্ধ মন্দির গেইট সংলগ্ন এলাকায় ২০ শতক জমির মালিক ও ভোগদখলকারী। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে তারা জমির সীমানা চিহ্নিত করার জন্য মাঠে গেলে হামলার শিকার হন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অফিসেরচর গ্রামের মোহাম্মদ আলমের নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতা নয়ন, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সেক্রেটারি কায়সার, ছাত্রদলের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা নাছির, ইয়াবা ও ধর্ষণ মামলার আসামি মোহাম্মদ ইমরানসহ ৭-৮ জনের একটি দল অতর্কিতে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। হামলাকারীরা মাহবুবুর রশিদকে নির্মমভাবে মারধর করে এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, আরিফুল ইসলাম নয়ন নিজেকে মাহিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ও ছোট ভাই বলে পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রামুতে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। মাহিন চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, নয়ন, কায়সার, নাছির ও ইমরান একটি চক্র গঠন করে দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সবজির গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি, বার্মিজ গরু ব্যবসা থেকে চাঁদা আদায়, এমনকি রামুর তেমুহনী স্টেশনের দোকানগুলো থেকে খেয়ে টাকা না দেওয়াসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। এসব কর্মকাণ্ডে এলাকায় বিএনপির ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় অনেক নেতাকর্মী।
এ বিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ভুক্তভোগী পরিবার দ্রুত আইনের সহায়তা ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছেন