সোমবার , ১০ মার্চ ২০২৫ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ-অনিয়ম
  2. অর্থ-বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আলোচিত
  5. কক্সবাজার
  6. খেলা
  7. জাতীয়
  8. জীবনযাপন
  9. ধর্ম
  10. নোটিশ-বিজ্ঞপ্তি
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. বৃহত্তর চট্রগ্রাম
  13. মুক্তমত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল

উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচার, নেপথ্যে রোহিঙ্গা সিরাজের সক্রিয় সিন্ডিকেট!

প্রতিবেদক
সোনার বাংলা নিউজ
মার্চ ১০, ২০২৫ ১:৩৬ অপরাহ্ণ

ছৈয়দুল আমিন সাঈদ – কক্সবাজার

উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচার বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কিছুদিন ইয়াবা পাচার কিছুটা কমলেও সাম্প্রতিক সময়ে তা আবার বেড়ে গেছে। আর এজন্য মাদক কারবারিরা নিত্যনতুন রুট পরিবর্তন করছে। সীমান্তের বিভিন্ন পাহাড়ি সড়ক ব্যবহার করে নিরাপদে পাচার করছে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা। বিশেষ করে রোহিঙ্গারা ইয়াবা পাচারে সম্পৃক্ত হওয়াতে পাচারকারীরা বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপদে আশ্রয় নেয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান ও পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে পাচারকারী সিন্ডিকেট তাদের মজুত করা ইয়াবার চালান পাচার করছে বিভিন্ন উপায়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।

মায়ানমারের মন্ডু শহরের ফয়জুল ইসলাম ছেলে ইয়াবা সম্রাট রোহিঙ্গা সিরাজ অনেকেই বুঝতেই পারবেন না সেই যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা পাচার করে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়িয়েছে এই ইয়াবা সম্রাট রোহিঙ্গা সিরাজ।
বর্তমানে সেই চট্টগ্রাম শহরের বনে গেছে বিলাসবহুল বাড়ি,গাড়ি মালিক। চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করে তার সক্রিয় সেন্ডিকেটে মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা ইয়াবা ব্যবসা।

ইয়াবা সম্রাট রোহিঙ্গা সিরাজের সক্রিয় সদস্য হিসেবে যারা রয়েছে তারা হলো-
চট্টগ্রামের বাদশামিয়া লেইন এলাকায় বসবাসকারী ফয়জুল ইসলামের পুত্র ইয়াবা সিন্ডিকেটের প্রধান সিরাজ উদ্দিন ও ইসমাইল, আমির হোছাইনের পুত্র নুরুল আমিন প্রকাশ কালা পুতু, ক্যাম্প-১১ এর মোহাম্মদ আলমের পুত্র মৌলবী মনির প্রকাশ আমজাদ, ক্যাম্প ৮ ই (ব্লক বি-৬০) এর আবুল কাশেম প্রকাশ নাজের হোছাইন। এদের প্রত্যেকের একাধিক ইয়াবা মামলা রয়েছে এবং বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্টও রয়েছ। তারপরও তারা অধরা এবং ওপেন-সিক্রেট চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা।

মিয়ানমার সীমান্তবর্তী সড়ক টেকনাফ হয়ে উখিয়ার বালুখালী ও বাইশফাঁড়ি সড়ক ব্যবহার করছে রোহিঙ্গা সিরাজের সদস্য ইয়াবা পাচারকারীরা। একইভাবে উখিয়া ডিগ্রি কলেজসংলগ্ন শৈলরডেবা সড়ক হয়ে রত্নাপালং ভালুকিয়া, হলদিয়াপালং পাতাবাড়ী সড়ক দিয়ে প্রবেশ করে ইয়াবার চালান যাচ্ছে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

জানা যায়,
মাদক ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি এবং বিলাসবহুল জীবন যাপনে দিন কাটছে ইয়াবা মাফিয়া রোহিঙ্গা সিরাজ ও তার একান্ত সহযোগীরা। বাংলাদেশের কতিপয় ব্যাক্তির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এন আইডি কার্ড বানিয়ে দেশের বিভিন্ন স্হানে বহুতল ভবনের মালিক বনে গেছে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম ও হাটহাজারিতে রোহিঙ্গা সিরাজ ও তার একান্ত সহযোগীদের রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল ভবন। এবং বিলাসবহুল গাড়ি।

প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত মাদক ব্যবসা করে বেপরোয়া তান্ডব চালান ইয়াবা সম্রাট রোহিঙ্গা সিরাজ ও তার সহযোগীরা।

বাংলাদেশর বিভিন্ন স্থান হয়ে মাদকগুলো সাপ্লাই দেন এই মাদক কারবারিরা। নিয়মিত ৫০-৮০ জনের একটি সক্রিয় মাদক বহনকারী সেন্ডিকেট রয়েছে তাদের। তারা ঢাকা চট্টগ্রামের বাসে করে বিভিন্ন কায়দায় ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছে । সেই সাথে নারীদের যৌনাঙ্গ ভিতরে করেও ইয়াবা পাচার করান বলে জানা যায়।

সীমান্তের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা থাকা সত্ত্বেও টেকনাফের সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ, দমদমিয়া, লেদা, রঙ্গিখালী, উলুচামারী, মৌলভীবাজার, নোয়াখালীয়াপাড়া, শাপলাপুর, সাতঘরিয়াপাড়া, উখিয়ার আমতলী, ডেইলপাড়া, ডিগলিয়া, টাইপালং, দরগাহবিল, থাইংখালী, পালংখালী, বালুখালী, রহমতের বিল, মরিচ্যা পাতাবাড়ী, রেজুখাল, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, গর্জনবুনিয়া, তুমব্রুসহ উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের অন্তত ৩৫টি পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসছে বাংলাদেশে। শুধু স্থলপথ নয়, আসছে সাগরপথেও। কখনো ত্রাণবাহী কিংবা জরুরি পণ্যবাহী যানে, মাছ ধরার ট্রলার, কাভার্ড ভ্যান, কখনো পায়ুপথে, কখনো যানবাহনের ইঞ্জিনের কাভারে করে গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে ইয়াবা।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ৬০ জন গডফাদারসহ ১ হাজার ১৫১ জন মাদককারবারির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। এই তালিকায় টেকনাফ সীমান্তেরই রয়েছে ৯ শতাধিক ইয়াবা কারবারি।

এই সংঘবদ্ধ মাদক কারবারিদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও কল রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ জানান, সীমান্তসহ জেলা জুড়ে মাদকের বিস্তার রোধে জেলা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল। শুধু সীমান্ত বা রোহিঙ্গা ক্যাম্প নয়, কক্সবাজারের সর্বত্র র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএনসহ সকল বাহিনীর সমন্বিত মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অবশ্যই অভিযুক্ত মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক একে এম দিদারুল আলম জানান, সীমান্তে যে কোনো মূল্যে ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদকের চোরাচালান বন্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার। ইয়াবা পাচারকারীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবসময় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ইয়াবার চালান বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে আমাদের। আমরা বসে নেই, প্রতিনিয়ত চলছে আমাদের মাদকবিরোধী অভিযান ও ধরপাকড়।

এই সব ইয়াবা ব্যবাসীদের কারণে আজকে যুব সমাজ থেকে শুরু করে পুরো দেশ মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে, দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান সচেতন মহল।

সর্বশেষ - বিশেষ সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিন্দন

শহরের পেশকার পাড়ায় অস্ত্রের মহড়ায় জমি দখলের চেষ্টা বাধা দিতে গিয়ে রক্তাক্ত এক আইনজীবী

দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে যে বার্তা দিলেন প্রধান শিক্ষক শাহজাদা জাহেদ জাহেদ আলম

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে পুলিশে চাকরি, অতিরিক্ত ডিআইজি শিমূলের ৫০০ কোটি টাকার সম্পদ

প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের শিক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করল অপকা

সেবার ব্রতে চাকরি ফেনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ২০ জন চূড়ান্ত।

ঈদগাঁও বাসস্টেশনে যানজট নিরসনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান : জরিমানা আদায়!

উখিয়ার ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা

নাসিরনগরে জামায়াতের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

নাফ নদীতে আরাকান আর্মির বোমা নিক্ষেপ, রোহিঙ্গা নিহত, আহত ২