কক্সবাজারের এলএ (ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন) অফিসে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দালাল চক্রের প্রভাব অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের ফাইল প্রসেসিংয়ে দালাল চক্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দাবি করছে।
জমি অধিগ্রহণের টাকার জন্য প্রাপকদের ভোগান্তি কোনো নতুন বিষয় নয়। তবে এখন কমিশনের হার বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন। অভিযোগ উঠেছে, দালালদের মাধ্যমে কমিশন না দিলে ফাইল প্রসেসিং মাসের পর মাস আটকে রাখা হয়।
ভুক্তভোগীদের বক্তব্য
এক ভুক্তভোগী জানান, “আমার জমির অধিগ্রহণের ফাইল প্রায় এক বছর ধরে পড়ে ছিল। দালাল ছাড়া কোনো কাজ এগোচ্ছিল না। শেষমেশ দালালের মাধ্যমে ফাইল প্রসেস করতে গিয়ে ৩৫% কমিশন দিতে হয়েছে।”
আরেকজন জানান, “দালালদের পেছনে এত টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পর হাতে কিছুই থাকে না। এই অনিয়মের কোনো শেষ নেই।”
প্রশাসনের নীরব ভূমিকা
স্থানীয়দের অভিযোগ, দালাল চক্রের সঙ্গে কিছু অসাধু কর্মকর্তা হাত মিলিয়ে এই কমিশন বাণিজ্য চালাচ্ছে। এর ফলে দালালদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো সাধারণ মানুষের ওপরই বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে আধুনিক প্রযুক্তি ও অনলাইন সিস্টেম চালু করা জরুরি। ফাইল প্রসেসিং থেকে ক্ষতিপূরণ বিতরণ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করলে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য কমানো সম্ভব।
কক্সবাজারের সুশীল সমাজের নেতারা ও সাধারণ জনগণ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, দালাল চক্রের রমরমা বাণিজ্য বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।