নাফনদীর মোহনা দিয়ে মাদকের চালানসহ অনুপ্রবেশকালে কোস্টগার্ডের সঙ্গে মাদক পাচারকারীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত ও মাদক পাচারচক্রের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ১৬ জনকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।
নিহত মোসলেহ উদ্দিন (৩৫) ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা। আটকদের ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক এবং ৫ জন রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের কাছাকাছি নাফনদীর মোহনায় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক।
তিনি বলেন, নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে এমন খবরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন টেকনাফ ও বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরীর দ্বীপের যৌথ টহলদল একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ওই সময় মিয়ানমারের মংডু শহরের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে একটি বড় ইঞ্জিন চালিত ফিশিং বোট বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে। টহলদল বোটটিকে থামানোর সংকেত দিলে বোটটি সংকেত অমান্য করে দ্রুত গতিতে বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কোস্টগার্ড সদস্যরা ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। পরক্ষণেই বোটে থাকা লোকজন কোস্টগার্ডকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। একপর্যায়ে আআত্মরক্ষার্থে কোস্টগার্ডের টহলদল পাল্টা গুলি চালায় এবং বোটটিকে জব্দ করতে সক্ষম হয়। পরে বোটে থাকা ১৬ জনকে আটক এবং দেশীয় তিনটি বন্দুক, তিনটি গুলি ও ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গুলিবিদ্ধ একজনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাদের বরাতে তিনি আরও বলেন, কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক পাচারকারীরা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নাফ নদীতে ফেলে দেয়। ওইসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। জব্দকৃত ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা গোলা ও আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এক মাদক কারবারির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।