দলের প্রায় অর্ধেক সদস্য ভেতরে ঢুকতে পারলেও ইউনের নিরাপত্তা দল এবং সিউল শহর রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত একটি সামরিক ইউনিট তাদের অবরুদ্ধ করে ফেলে।
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেও পারেনি দেশটির পুলিশ।
ইউনের গ্রেপ্তারে বাধা দেয় প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (পিএসএস)।
পিএসএস এর আগেও ইউনের অফিস ও সরকারি বাসভবনে তল্লাশি পরোয়ানা নিয়ে তদন্তকারীদের প্রবেশে বাধা দিয়েছিল। এবারও তারা প্রেসিডেন্টের গ্রেপ্তারে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমনকি, গ্রেপ্তারের খবর শুনে শুক্রবার বাসভবনের বাইরে প্রেসিডেন্টের শত শত সমর্থক বিক্ষোভ শুরু করে।
এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি এবং এই অঞ্চলের অন্যতম প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩ ডিসেম্বর সবাইকে হতবাক করে দেশে সামরিক আইন জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন। এই সিদ্ধান্তের জন্য অভিশংসিত করে তাকে ক্ষমতা থেকে বরখাস্ত করা হয়।
পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদন করে দেশটির এক আদালত।
বিবিসি লিখেছে, শুক্রবার ভোর থেকে সিউলে ইউনের বাসভবনের বাইরে রাস্তায় কয়েক ডজন পুলিশ ভ্যান সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তা ও সিআইও সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল প্রেসিডেন্টের বাসভবনের দিকে অগ্রসর হয়।
২০ সদস্যের একটি দল নিয়ে অভিযান শুরু হলেও দ্রুতই তা বেড়ে ১৫০ জনে দাঁড়ায়।
দলের প্রায় অর্ধেক সদস্য ভেতরে ঢুকতে পারলেও ইউনের নিরাপত্তা দল এবং সিউল শহর রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত একটি সামরিক ইউনিট তাদের অবরুদ্ধ করে ফেলে।
সিউলের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের এক কর্মকর্তা সংবাদসংস্থাকে বলেন, এক পর্যায়ে নিরাপত্তা দলটি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে সিআইওর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে তদন্তকারীরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা থেকে সরে আসেন এবং প্রেসিডেন্টের বাসভবন ত্যাগ করেন।
সিআইও বলেছেন, পরবর্তী পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সে সময় প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে থাকা ইউনের সমর্থকরা ‘আমরা জিতেছি’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।