শুক্রবার , ২৮ জুন ২০২৪ | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ-অনিয়ম
  2. অর্থ-বাণিজ্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আলোচিত
  6. ইসলাম
  7. কক্সবাজার
  8. খেলা
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. ধর্ম
  12. নোটিশ-বিজ্ঞপ্তি
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিনোদন
  15. বিশেষ সংবাদ

বোরকা পরে আসে খুনিরা, কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে যায়

প্রতিবেদক
সোনার বাংলা নিউজ৭১
জুন ২৮, ২০২৪ ১:০১ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে এক রোহিঙ্গা যুবককে হত্যা করেছে। নিহত যুবকের নাম মো. ছালেক (৩৫)। তিনি ক্যাম্প-৮ পশ্চিমের ডি-৭৬ ব্লকের রোহিঙ্গা মো. নুর আলমের ছেলে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে আশ্রয়শিবিরের ডি-৭৬ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্বশত্রুতার জেরে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা যুবক মো. ছালেক গভীর রাতে নিজ ঘরে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বোরকা পরিহিত কয়েকজন সন্ত্রাসী ছালেককে পথরোধ করে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় ছালেককে উদ্ধার করে কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি শামীম হোসেন বলেন, আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা নেতা ছৈয়দ করিম বলেন, সন্ধ্যার পর আশ্রয়শিবিরে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে যায়। আধিপত্য বিস্তার, মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি, দোকানপাটে চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের জন্য লোকজনকে অপহরণের ঘটনা ঘটছে। প্রায় সময় সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি জুন মাসের প্রথম ১২ দিনে উখিয়ার কয়েকটি আশ্রয়শিবিরে একাধিক সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অন্তত নয়জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও আরএসওর পাঁচজন সদস্যও রয়েছেন।

আশ্রয়শিবিরের কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা জানান, গত মে মাসে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনায় সাতজন রোহিঙ্গা খুন হয়েছেন। এপ্রিল মাসে ৪ জন। অথচ জুন মাসের প্রথম ১২ দিনেই খুন হয়েছেন ৯ জন।

আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তথ্যমতে, গত পাঁচ মাসে একাধিক সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় অন্তত ২৬ জন খুন হয়েছেন। ২০২৩ সালে খুন হয় ৬৪ জন। এসব ঘটনায় আরসার শীর্ষ নেতাসহ ১২৯ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে উখিয়ার ২৩টি আশ্রয়শিবিরে ৯ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। টেকনাফের ১০টি আশ্রয়শিবিরে মাঝেমধ্যে অপহরণ ও খুনের ঘটনা ঘটলেও উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে খুনখারাবি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ - বিশেষ সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত টিকটকার প্রিন্স মামুন

পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ১৬

মহেশখালীর আবুল মাজন বাহিনীর হাতে ব্যবসায়ী মনজুর আলম গুরুতর আহত

চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট নির্বাচিত হলেন রোবায়েত

রিডিং ক্লাব কক্সবাজারের উদ্যোগে প্রবেশন আইন নিয়ে আলোচনা:”ছোট অপরাধের জন্য কারাদণ্ড নয়,সুযোগ!”

প্রায় একমাস ধরে ঢাকায় অনশণে কক্সবাজারের পরিবেশকর্মী দিদার

দালালি করে জিরো থেকে হিরো কে এই পেকুয়ার সরওয়ার !

নুসরাত-অঙ্কুশের বন্ধুত্বে ফাটল!

পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি হামলায় ৪ ফিলিস্তিনী নিহত: ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ

জেলা কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন