শুক্রবার , ২৮ জুন ২০২৪ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ-অনিয়ম
  2. অর্থ-বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আলোচিত
  5. কক্সবাজার
  6. খেলা
  7. জাতীয়
  8. জীবনযাপন
  9. ধর্ম
  10. নোটিশ-বিজ্ঞপ্তি
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. বৃহত্তর চট্রগ্রাম
  13. মুক্তমত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল

চিরকুটে লেখা ‘আমি পারছি না এত যন্ত্রণা নিতে’, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল তরুণীর দেহ

প্রতিবেদক
সোনার বাংলা নিউজ
জুন ২৮, ২০২৪ ১:২৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম রীমা আক্তার (২০)। তিনি উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের হীরা গাজী তালুকদার বাড়ির বাসিন্দা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পটিয়া সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন রীমা।

আজ শুক্রবার রীমা আক্তারের বিয়ে এবং গতকাল গায়েহলুদের সময় নির্ধারণ করা ছিল। বিয়ে উপলক্ষে গতকাল সকাল থেকে বাড়িতে সাজসজ্জাসহ প্রস্তুতিও শুরু হয়।

রীমার বোন রুমি আকতার বলেন, বেলা ১১টার দিকে রীমা বর মোরশেদুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। এ সময় মোরশেদের পরিবার থেকে আসবাবপত্র যৌতুক চাওয়ার বিষয়ে দুজনের ঝগড়া হয়। এরপর নিজ কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন রীমা। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর তাঁর সাড়াশব্দ না পেয়ে ভেন্টিলেটরে উঁকি দিয়ে দেখা যায়, তাঁর শরীর ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় ঝুলছে।

রুমি আকতার আরও বলেন, এ সময় ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে রীমা আক্তারকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তির প্রায় এক ঘণ্টা পর রীমা মারা যান।

পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, রীমার কক্ষে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘আমি পারছি না এত যন্ত্রণা নিতে। বাকি জীবনটা সুন্দর করে উপভোগ করতে পারলাম না। আজকের দিনেও তোমার যন্ত্রণা আমি নিতে পারছি না। আমার পরিবার থেকে যে যৌতুকের টাকা তোমাদের দিয়েছে, সেগুলো শোধ করে দিয়ো।’

রীমার চাচা নাছির উদ্দীন বলেন, গত রমজানে ব্যাংক কর্মকর্তা মোরশেদের সঙ্গে তাঁর ভাতিজা রীমার বিয়ের কাবিন হয়। গত রোববার বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করা হয়। বিয়েতে ৫০০ বরযাত্রী আসার কথা। কিন্তু হঠাৎ বরপক্ষ বলে, মাত্র ১০ জন এসে কনেকে নিয়ে যাবেন, তাদের যাতে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপর তাদের ২ লাখ টাকা দেওয়া হলেও তারা আবার আসবাব দাবি করে। আসবাব দেওয়ার বিষয়ে দুই-এক দিন সময় চাওয়া হয়। কিন্তু আসবাব দেরিতে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে মোরশেদ রীমাকে গালিগালাজ করেন। এ কারণে রীমা আত্মহত্যা করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোরশেদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এক নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে মোরশেদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে ওই আত্মীয় কিছুক্ষণ পর জানান, মোরশেদ বিমর্ষ হয়ে ভেঙে পড়েছেন। তিনি কথা বলতে পারবেন না।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত তরুণীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় চিরকুটের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। চিরকুটটির বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

সর্বশেষ - বিশেষ সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

মাওলানা র‌ঈস উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ।

কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী কাউয়া বাবু সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা ও বাইক ভাংচুর।

ওসিকে হুমকি দেওয়া চট্টগ্রামের সেই সাজ্জাদ ঢাকায় গ্রেফতার

কক্সবাজারে একসাথে তিন সন্তানের জন্ম, পরিবারে খুশির জোয়ার

রাজস্থলীতে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন সেনাপ্রধান

ড. ইউনুছ আওয়ামী প্রশাসনকে এখনো পরিবর্তন করতে পারেনি-ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম

কক্সবাজারে ৬৪ বছরের ইতিহাসে লবণের রেকর্ড উৎপাদন

সতর্ক সংকেত কমিয়ে ৩ নাম্বারে

সিএমএসএমই

২০২৯ সালের মধ্যে সিএমএসএমই ঋণ ২৭ শতাংশ বিতরণের লক্ষ্য