শুক্রবার , ৭ জুন ২০২৪ | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ-অনিয়ম
  2. অর্থ-বাণিজ্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আলোচিত
  6. ইসলাম
  7. কক্সবাজার
  8. খেলা
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. ধর্ম
  12. নোটিশ-বিজ্ঞপ্তি
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিনোদন
  15. বিশেষ সংবাদ

রামুতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮০ হাজার টাকা ঘর বিক্রি করলেন ইউপি সদস্য সাবেকুর নাহার সাবু

প্রতিবেদক
সোনার বাংলা নিউজ৭১
জুন ৭, ২০২৪ ১:১৬ অপরাহ্ণ

রামু উপজেলা কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১,২,৩ নং ওয়ার্ড়ে মহিলা ইউপি সদস্য সাবেকুর নাহার সাবু বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ৮০ হাজার টাকায় উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাজির পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৩ নম্বর শাপলা ঘরটি আনোয়ারা বেগম কাছে বিক্রি করেন তিনি।

আনোয়ারা বেগম কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড়ের শাইরা এলাকায় রশিদ আহম্মদ মেয়ে।

এলাকাবাসী জানান,প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় হাজির পাড়ায় গ্রামে ৭৩টি ঘর নির্মাণ করে উপজেলা প্রশাসন রামু। এর মধ্যে একটি ঘরের বরাদ্দ পেয়েছেন স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড়ের পূর্ব তিতার পাড়া গ্রামে মোহাম্মদ উল্লাহ ছেলে সাহাব মিয়া। যার আইডি নং ৮২৫৮১৩০৪৭৮। দক্ষিণ কচ্ছপিয়া মৌজায়ঃ১ যার খতিয়ান নং ৯১১২। গত বছর ৯ আগষ্ট ২০২৩ সালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ঘর ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

সরকারি এই ঘর টি দখল করে বিক্রি করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবেকুর নাহার সাবু। ফলে বরাদ্দ পাওয়ার প্রায় ৯ মাস অতিবাহিত হলেও ঘরের কক্ষে মাথা রেখে এক দিনও ঘুমাতে পারেননি অসহায় এই মহিলা। অপরদিকে সেই ঘরেই আয়েশে বসবাস করছে ওই প্রভাবশালী পরিবারটি।

তবে দখলদার আনোয়ারা বেগম ও তার মা বলেন,মহিলা মেম্বার সাবেকুর নাহার সাবু মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি। আমি চট্রগ্রামে গারম্যাচে চাকরি করি। খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্ট করে টাকা গুলো জমিয়েছি। কষ্টের টাকা দিয়ে ঘরটি কিনেছি। গত ২৪ এপ্রিল ঘরটি ক্রয় করেছি। আমার কাছে লিখিত স্ট্যাম্প করে দেওয়া কথা থাকলে এখনো দে নাই।

এই উপকারভোগী কাছে ঘর বিক্রি বিষয়ে সাহাব মিয়া স্ত্রী তফুরা বেগম বাড়ি গেলে তিনি ঘর বিক্রি কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার আত্মীয়কে থাকার জন্য দিয়েছি। আমি কোন ঘর বিক্রি করি নাই। স্থানীয় সূত্রে মতে ইউপি সদস্য বাড়ির পার্শ্ববর্তী লোক বলে জানা যায়। আমার কাছে সব ডুকুমেন্ট আছে। আশ্রয়ণ প্রকল্প না থাকায় বিষয়ে তিনি বিষয়টা এড়িয়ে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, মহিলা ইউপি সদস্য সাবেকুর নাহার সাবু এ ঘটনার মূল হোতা। তিনি টাকা নিয়ে ঘর বিক্রি করে ঝামেলা বাধায় রাখছে। ঘটনার একটা সমাধান হওয়া দরকার। মহিলা ইউপি সদস্যকে আইনের আওতায় আনা উচিত।

এ বিষয়ে অভিযুক্তকারী ইউপি সদস্য সাবেকুর নাহার সাবু সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সাহাব মিয়া স্ত্রী তফুরা বেগমের আত্মীয়কে থাকতে দিয়েছে বলে জানা গেছে । আমি কারো কাছ টাকা নিয়ে ঘর বিক্রি করি নাই। মাননীয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে ফোন কেটে দেন।

এই বিষয়ে রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগ পেলে এখনো পর্যন্ত অভিযোগ টা আমাদের হাতে আসে নাই। অভিযোগ টা আসলে আমরা খতিয়ে দেখে তদন্ত পূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্যঃ স্থানীয় সূত্রে এসব ঘরে বসবাসকারী ব্যক্তিরা টাকা দিয়ে ঘর কিনে নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তাদের কোনো বাড়িঘর ও জমিজমা নেই। আবেদন করেও তারা সরকারের ঘর বরাদ্দ পাননি। তাই নিরুপায় হয়ে বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ঘর কিনে বসবাস করছেন।

সর্বশেষ - বিশেষ সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

কক্সবাজার সদর উপজেলার নব—নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছা

নাজেম উদ্দিন কে পরাজিত করে ফরিদুল আলম সভাপতি নির্বাচিত

কক্সবাজারে ভূমি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন

হোটেল কর্মচারী নুরুল কাদের হত্যার বিচারের দাবিতে স্কপ’র স্মারকলিপি

“এনবিএমইজিএফ” কক্সবাজার কমিটির ঈদ পূর্ণমিলনী ও উদ্যোক্তা মিলনমেলা

র‌্যাব-১৫ কর্তৃক উদ্ধার; অপহরণ চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচজন গ্রেফতার

সৈকতে মূর্তিমান আতঙ্ক অর্ধডজন বিচকর্মী

নাফ নদীতে আরাকান আর্মির বোমা নিক্ষেপ, রোহিঙ্গা নিহত, আহত ২

আবারো চালু হলো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ‘স্পেশাল ট্রেন’

পবিত্র কাবার চাবিরক্ষক ড. শায়খ সালেহ আল শাইবার মৃত্যু