উখিয়ার ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় কারা নির্যাতিত পেশাদার সাংবাদিক, দৈনিক গণসংযোগ পত্রিকার ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি,চট্টলা বাংলা’র সম্পাদক,উখিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য শ.ম.গফুর কে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়েছেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের তুমব্রু উত্তর পাড়ার বাসিন্দা,এক সময়ের পুলিশের দালাল খ্যাত,বহু মাদক মামলার আসামী ইউসুফ আলীর ছেলে,ঘুমধুম সীমান্তের চোরাকারবারিদের দালাল, কথিত চৌধুরী পরী আলম।২ জুন দুপুর ১ টা ২৩ মিনিটের সময় অচেনা ০১৬১৯৩৩২৬৯৬ এই নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় নাম ধরে গালিগালাজ করতেই থাকেন।
ওই প্রান্ত থেকে পরী আলম যা ইচ্ছে গালিগালাজ করলেও সাংবাদিক শ.ম.গফুর কল রিসিভ করেই প্রথমে সালাম দেন এবং কে ভাই বলে জানতে চাইলে পরী আলম বলার পর আর কোন কথায় বলেননি।প্রায় দুই মিনিট ৩০ সেকেন্ড গালিগালাজ করার পর লাইন কেটে দেন (কল রেকর্ড সংরক্ষণ করা আছে)।এর কিছুক্ষণ পর একে-একে আরো ৫/৬ বার কল দেন রিসিভ করেন নাই সাংবাদিক গফুর।জানা গেছে,গত এক সপ্তাহ ধরে পরী আলম চৌধুরী,আলিফ বাবু,নুর হোসেন ঘুমধুম,মো.ইব্রাহিম নামের কয়েকটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে সাংবাদিক শ.ম.গফুরের বিরুদ্ধে ছবি’র সাথে ইয়াবা সংযুক্ত করে কুরুচিপূর্ণ মিথ্যাচার ও মিথ্যা অপবাদ প্রচার করে আসছিল।এ বিষয়ে সাংবাদিক গফুর জানান,যাদের ফেসবুক একাউন্ট থেকে এসব পোস্ট করা হয়েছে,তাদের সাথে ব্যক্তিগত কোন কিছুই হয়নি।কেন,কি কারণে তারা এসব পোস্ট করেছে নিজেও জানেন না।
যাদের ফেসবুক একাউন্ট থেকে সাংবাদিক শ.ম.গফুরের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মিথ্যাচার করেছে,সেসব পোস্ট এর স্কিনশট সংরক্ষণ করেছেন বলে জানা গেছে।তবে যেসব ফেসবুক একাউন্ট থেকে পোস্ট করেছে,তাদের মধ্যে দালাল ইউসুফ আলীর ছেলে কথিত চৌধুরী পরী আলম সহ কয়েকজন ঘুমধুম সীমান্তের চোরাকারবারিদের সুবিধাভোগী রয়েছে বলে জানা গেছে। বাবা ইউসুফ আলীর মত ছেলে পরী আলম দালালীপণায় মেতে উঠেছে। আরো জানা গেছে,ইতিপূর্বে ইউসুফ আলীর নানা অপকর্মের বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল।বাবা ইউসুফ ও ছেলে পরী আলমের মধ্যেও পারিবারিক কলহে মারামারি সংঘঠিত হয়েছিল।এমন কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পিতা-পুত্র একে অপরের বিরুদ্ধে লেখালেখি হয়েছিল।জাতীয় দৈনিক “সকালের সময়”পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করেছিল।এদিকে সাংবাদিক শ.ম.গফুর কে চোরাকারবারিদের দালাল কর্তৃক হুমকি দান ও কুরুচিপূর্ণ মিথ্যাচার এবং অপবাদ, অপপ্রচারে কক্সবাজারের পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন,সাংবাদিক সমাজ।হুমকিদাতা চোরাকারবারিদের দালাল পরী আলম কে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি।হুমকি এবং মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী উখিয়ার কারা নির্যাতিত ও ষড়যন্ত্রের শিকার সাংবাদিক শ.ম.গফুর।এ বিষয়ে উখিয়া থানার ওসি এবং ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বরাবর অডিও রেকর্ড দিয়ে অবগত করা হয়েছে।